Golden Bangladesh
Eminent People - সেলিনা হোসেন

Pictureসেলিনা হোসেন
Nameসেলিনা হোসেন
DistrictRajshahi
ThanaNot set
Address
Phone
Mobile
Email
Website
Eminent Typeসাহিত্য
Life Style
Rationale

সেলিনা হোসেন


জন্ম

জুন ১৪, ১৯৪৭
রাজশাহী, বাংলাদেশ

জাতীয়তা

বাংলাদেশী

বংশোদ্ভূত

বাঙালি

নাগরিকত্ব

 বাংলাদেশ

পেশা

কথা-সাহিত্যিক, লেখক, ঔপন্যাসিক

ধর্ম

মুসলিম

পুরস্কার

একুশে পদক

সেলিনা হোসেন (জুন ১৪, ১৯৪৭) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নারী ঔপন্যাসিক। তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব্ব সংকটের সামগ্রিকতা। বাঙালির অহংকার ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তাঁর লেখায় নতুনমাত্রা যোগ করেছে

জন্ম প্রাথমিক জীবন

সেলিনা হোসেনের জন্ম ১৪ জুন, ১৯৪৭, রাজশাহী শহরে। [] তাঁর পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলা হাজিরপাড়া গ্রাম। বাবা কে মোশাররফ হোসেন এবং মা মরিয়মন্নেসা বকুল। তিনি পিতা মাতার চতুর্থ সন্তান। বাবা কে মুশাররফ হোসেন এর আদিবাড়ি নোয়াখালি হলেও চাকরিসূত্রে বগুড়া পরে রাজশাহী থেকেছেন দীর্ঘকাল; কাজেই সেলিনাকে একেবারে মেয়েবেলায় নোয়াখালিতে বেশিদিন থাকতে হয়নি। সেলিনা হোসেনের মায়ের নাম মরিয়ামুন্ননেছা বকুল। মুশাররফ-মরিয়ামুন্ননেছা দম্পতির সব মিলিয়ে সাত ছেলেমেয়ে। সেলিনা ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ

শিক্ষা জীবন

মহান ভাষা আন্দোলনের দুবছর পর পর (অর্থাৎ,১৯৫৪ সালে) বগুরার লতিফপুর প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হল বালিকা সেলিনা। ক্লাস থ্রিতে। ১৯৫৯ সালে রাজশাহীর নাথ গালর্স স্কুলে ক্লাস এইটে ভর্তি হন তিনি। নাথ গালর্স স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষক-শিক্ষকাই ছিলেন উদার আর মহৎ। কেননা, ছাত্রীদের তারা কেবল সিলেবাসে আটকে রাখেননি। নাথ গালর্স স্কুল থেকেই ম্যাট্রিক (তখন এস এস সি বলা হত না) পাশ করেন ১৯৬২ সালে। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে রাজশাহী উইমেন্স কলেজে ভর্তি হন তিনি। কলেজ জীবন শেষ করে বাংলা ভাষা সাহিত্য নিয়ে ভর্তি হল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার জীবনে যুক্ত হল নিবিড় সাংস্কৃতিক গভীর রাজনৈতিক অধ্যায়। ১৯৬৭ সালে বিতর্ক প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পাঞ্জাব যাওয়ার কথা থাকলেও অস্থির রাজনৈতিক অবস্থার কারণে যাওয়া হয়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বি অনার্স পাশ করলেন ১৯৬৭ সালে। এম পাশ করেন ১৯৬৮ সালে

কর্মজীবন

সেলিনা হোসেনের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমীর গবেষণা সহকারী হিসেবে। তিনি ১৯৬৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে চাকরী পাওয়ার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকাতে উপসম্পাদকীয়তে নিয়মিত লিখতেন। ১৯৭০ সালে দুটো চাকরীর ইন্টারভিউয়ের জন্য চিঠি পান। একটি বাংলা একাডেমিতে অন্যটি পাবলিক সার্ভির্স কমিশন থেকে সরকারী কলেজের জন্য। বাংলা একাডেমীর চাকরীর ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন বাংলা একাডেমীর তৎকালীন পরিচালক কবীর চৌধুরী, . মুহম্মদ এনামুল হক, . নীলিমা ইব্রাহিম, আবদুল্লাহ আলমুতী শরফুদ্দীন প্রমুখ। এর পাশাপাশি পাবলিক সার্ভিস কমিশনে সরকারি কলেজের চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বোর্ডে শহীদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীকে পান। কর্মরত অবস্থায় তিনি বাংলা একাডেমীর 'অভিধান প্রকল্প', 'বিজ্ঞান বিশ্বকোষ প্রকল্প', 'বিখ্যাত লেখকদের রচনাবলী প্রকাশ', 'লেখক অভিধান', 'চরিতাভিধান' এবং 'একশত এক সিরিজের' গ্রন্থগুলো প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ২০ বছরেরও বেশি সময় 'ধান শালিকের দেশ' পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমীর প্রথম মহিলা পরিচালক হন। ২০০৪ সালের ১৪ জুন চাকুরি থেকে অবসর নেনপ্রথম গল্পগ্রন্থ উৎস থেকে নিরন্তর প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। ভ্রমণ তাঁর নেশা। তাঁর মোট উপন্যাসের সংখ্যা ২১টি, গল্প গ্রন্থ ৭টি এবং প্রবন্ধের গ্রন্থ ৪টি

গ্রন্থতালিকা

উপন্যাস

  • কাঠকয়লার ছবি

  • ঘুমকাতুরে ঈশ্বর

  • লারা

  • ভূমি কুসুম

  • যাপিত জীবন

  • যমুনা নদীর মুশায়রা

  • জলোচ্ছ্বাস

  • কাটাতারে প্রজাপতি

  • ভালোবাসা প্রীতিলতা

  • যুদ্ধ

  • অপেক্ষা

  • মর্গের নীল পাখি

  • গায়ত্রী সন্ধা

  • পূর্ণছবির মগ্নতা

পুরস্কার

  • : মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক (১৯৬৯)

  • বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮০)

  • আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১)

  • কামার মুশতারি স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮৭)

  • ফিলিপস্ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪)

  • অলক্তা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪)

  • রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার (২০১০)

 তথ্যসূত্র:উইকিপিডিয়া 
UploaderRaihan Ahamed