গোল্ডেন বাংলাদেশ একটি সামাজিক, অরাজনৈতিক, বেসরকারি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এটি ২০০২ সালে সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন আইন ১৮৬০ এর অধীনে নিবন্ধিত হয়। গোল্ডেন বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠা কাল থেকে মানবতার জন্য ভাল কিছু করার লক্ষ্যে তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন, গনসচেতনতা বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন ও যুব সমাজকে দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ করার মধ্যদিয়ে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গোল্ডেন বাংলাদেশের লক্ষ্যঃ তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের মধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে সৃজনশীল কর্মকান্ড পরিচালনা এবং ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক দায়দ্ধতার উপর সচেতনতা বৃদ্ধি করে দেশকে দারিদ্রমুক্ত করার লেেক্ষ্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখা গোল্ডেন বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য। গোল্ডেন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যঃ
গোল্ডেন বাংলাদেশের ইতিহাসঃ
গোল্ডেন বাংলাদেশ ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে তার কার্যক্রম শুরু করে ৭ই মার্চ ২০০২ সালে নিবন্ধিত হওয়ার পর থেকে। শুরুতে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো তৈরী না হলেও একটি মহৎ স্বপ্নকে লালন করার মধ্য দিয়ে অপার সম্ভাবনার পথে রওনা হয় প্রতিষ্ঠানটি। স্বল্প পরিসর, আর্থীক অনিশ্চয়তা আর নানান প্রতিকুলতাকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্য পথে কুড়িয়ে পাওয়া অভিজ্ঞতা আর নিজেদের মেধা ও মননশীলতাকে কাজে লাগিয়ে আজকের অবস্হানে সেই গোল্ডেন বাংলাদেশ। অগ্রগতির ধারাবহিকতা রক্ষার্থে গোল্ডেন বাংলাদেশ সন্দেহাতীত ভাবে সাফল্যের শীর্ষে আরোহনে দৃঢ় প্রত্যয়ী। শুরুর দিকে (অর্থাৎ ২০০০ সালে) বাংলাদেশের জন্য অপার সম্ভাবনাময়ী পরিবহন সেক্টরে বিশেষ ভাবে মনোযোগী হয় প্রতিষ্ঠানটি। দুটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শুরু হয় কার্যক্রম। এক. সরক দুর্ঘটনা রোধে গণসচেতনতা সৃষ্টি। দুই. দক্ষ ড্রাইভার ও মেকানিক তৈরীতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্হা করা। ফলাফলে ১৫ জনেরও অধিক ড্রাইভার ও বেশ কিছু মেকানিক তৈরীতে গোল্ডেন বাংলাদেশের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের প্রত্যেক কেই কাজের সুযোগ তৈরী করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তিতে বিস্তৃত হতে থাকে কার্যক্রম। সংকীর্ণ গন্ডি পেরিয়ে যুক্ত হয় মাদকাশক্ত পুনর্বাসন, দুর্যগ ব্যবস্হাপনা কার্যক্রম সহ বেশ কিছু সমাজ সেবা মূলক কাজ। যদিও আইটি সেক্টরই ছিলো আমাদের প্রধান পরিকল্পনা। এসময় বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যৌথ উদ্যোগে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তার মধ্যে “আহ্বান” উল্লেখ যোগ্য। মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসনে গোল্ডেন বাংলাদেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। তন্মধ্যে প্রচার-প্রচারনার জন্য বিভিন্ন প্রগ্রাম ও র্যালি পরিচালনা ও মাদকাশক্তদের চিকিৎসা প্রদান অন্যতম। পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়ায় তার মূল কেন্দবিন্দুতে। মনোযোগী হয় তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টায়। কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পুরো দেশকে প্রযুক্তির জালে একত্রিত করতে। একই সাথে দেশের গ্রামীণ জনপদ যারা নিজেদের অধিকার টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে ব্যর্থ হয় বারংবার। নিগৃহীত হয় অর্থের অনটনে, তাদের জন্য সাহায়ের হাত বাড়িয়ে দেয় গোল্ডেন বাংলাদেশ। বিশেষ করে দুঃস্হ নারী সমাজ যারা প্রতিনীয়তই নিষ্পেষিত, নিগৃহীত আর নির্যাতিত হচ্ছে সমাজের কাছে। বয়স বাড়ার পরেও অর্থাভাবে বিয়ে করতে পারছেনা যারা সে সকল মানুষের সেবাই গোল্ডেন বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে আজ। কাজ করে যাচ্ছে নিরলস ভাবে। আমাদের বিশ্বাস ও প্রচেষ্টা সফলতার দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমরা মনে করি।